Hot Widget

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, সার্টিফিকেট সংশোধন, নতুন পাসপোর্ট বা নবায়ন, নতুন জন্ম নিবন্ধন বা সংশোধনসহ সকল প্রকার অনলাইন সেবা পেতে যোগাযোগ করুন সিলেট অনলাইন সার্ভিসে
যোগাযোগ করুন
অনুসন্ধান করতে এখানে লিখুন

আকীকার পশু কেনার পর সন্তান মারা গেলে কী করবেন?

সন্তান জন্মের পর পশু জবাই দিয়ে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে শিশুর আকিকা করা মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে আকিকার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুইটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯৬১)

অন্য হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ পশু যবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি, হাদিস, ৫৪৭২)

সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম। এক হাদিসে সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস, ১৫২২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৩৪)

তাই সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে ১৪ তম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। এবং তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস, ৭৬৬৯)

তবে কেউ যদি আকিকার পশু কেনার পর আকিকা সম্পন্ন করার আগেই তার সন্তান মারা যায় তাহলে তার করণীয় হলো- এমন ব্যক্তি চাইলে আকিকার পশুটি বিক্রি করে ওই টাকা নিজে ব্যবহার করতে পারবে অথবা চাইলে সদকা করতেও পারবে। কারণ, আকিকা করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। আকীকার জন্য পশু নির্ধারণ করলেও তা নির্ধারণ হয় না। তবে শিশুটি মারা গেলেও যেহেতু তার আকিকার নিয়তে এই পশু কেনা হয়েছিল, তাই চাইলে এই পশু সেই মৃত শিশুর পক্ষ থেকে আকিকা করার সুযোগ আছে। এজন্য সেই পশুটি মৃত শিশুর আকিকা জন্য জবাই করতে চাইলে করতে পারবে। (মুসতাদরাকে হাকেম ৫/৩৩৮; আলমুগনী ১৩/৩৯৩, ৩৯৭, ৪০০;)

ট্যাগ

মন্তব্য করুন

0 মন্তব্য
*কেউ মন্তব্যের ঘরে স্প্যাম করবেন না। *গালিগালাজ করবেন না