দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ছিটকে গেছে আগেই। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়টা মহাগুরুত্বপূর্ণ। এদিন ব্যাট করতে নেমে আবারও সেই পুরনো গল্পই যেন মঞ্চস্থ হচ্ছিল পুনেতে। একে একে ব্যর্থ হলেন বেয়ারস্টো, রুট, বাটলার ও মঈন আলিরা। দুইশর আগেই (১৯২ রানে) ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। মনে হচ্ছিল, আড়াইশো পেরোনো কঠিন হয়ে যাবে ইংলিশদের জন্য।
একপ্রান্তে যদিও দারুণ ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন ডেভিড মালান। এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৭৪ বলে ৮৭ রান করে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও পূর্ণতা পেল স্টোকসের লড়াকু ইনিংস। অবসর ভেঙে বিশ্বকাপে ফেরা উনিশে ইংরেজদের বিশ্বজয়ের নায়ক এতদিনে এসে যেন চেনা ছন্দে ফিরলেন। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে তিনশ’ পেরোয় ইংল্যান্ডের পুঁজি। স্টোকসকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ফিফটি করা ওকস। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৩৯ রান।
আজ (বুধবার) পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২০ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩২ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। এরপরই খেই হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। পরের ২০ ওভারে ৮৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ ১০ ওভারে স্টোকস ও ওকসের ব্যাটে আবারও লাগাম টানে ইংল্যান্ড।
দলীয় ৪৮ রানে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। সেট হয়ে ফিরে যান জো রুটও (২৮)। অন্য প্রান্ত দিয়ে ওপেনার ডেভিড মালান ঝড়ো ব্যাটিং করে ৭৪ বলে খেলেন ৮৭ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১০টি চার ও দুটি ছক্কার শট আসে।
এরপরই ডাচদের উইকেট উৎসবের শুরু। হ্যারি ব্রুক (১১) ও জস বাটলার (৫) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। আউট হন মঈন আলীও (৪)। ইংল্যান্ড ১৯২ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট। সেখান থেকে চারে নামা বেন স্টোকস ও আটে নামা ক্রিস ওকস দলকে বড় রান এনে দিয়েছেন।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৮১ বলে ১২৯ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন স্টোকস। ৪৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রান করেন ওকস। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন স্টোকস। ৮৪ বলে তার ১০৮ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৬টি করে চার-ছক্কার মার।