রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাত্রী ও মোটরসাইকেল পারাপারের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি ট্রলারের মাধ্যমে যাত্রী পারাপার করছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সুযোগ বুঝে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকলেও নৌ পুলিশের তৎপরতা খুব একটা দেখা যায়নি।
দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে, অথচ নৌ পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতি নেই। ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে সুবিধাভোগী চক্র অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ট্রলারে যাত্রী ও মোটরসাইকেল পারাপার করছে।
চার কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের ১০০-২০০ টাকা এবং মোটরসাইকেল পারাপারে ৪০০-৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, “কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকলেও মাঝেমধ্যে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেরির ধাক্কায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় নৌ-পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।”
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক বলেন, “ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। এরপরও যাত্রী পারাপারের তথ্য পেয়ে আমরা একাধিকবার অভিযান চালিয়েছি, তবে অভিযানের আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। জড়িতদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”