সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার প্রভাকরপুর গ্রামের যুবদল নেতা রাসেল বক্স ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ তিন বছর ধরে সামাট গ্রামের রিনা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্পর্কের শুরু থেকেই রাসেল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিনার সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। কিন্তু ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বরে রিনা বেগম পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিলে রাসেল বক্স সম্পর্ক অস্বীকার করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন, কিন্তু কোন সমাধান সম্ভব হয়নি।
এরপর ২০ ডিসেম্বর, রাসেল বক্স তার দলীয় ও এলাকার প্রভাবশালী মানুষ এবং অনুসারীদের নিয়ে রিনা বেগমের পাশের বাড়ির উঠানে একটি বৈঠক আহ্বান করেন। তিনি নিজের অন্যায় ঢাকতে উল্টো রিনা বেগমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দেন এবং বলেন রিনা বেগম আমার সম্পত্তি এবং প্রভাব দেখে আমার সাথে মিথ্যা প্রেমের ঘটনা রটায় এবং আমার সম্মান ও রেপুটেশন নষ্ট করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি রিনাকে মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে, এলাকাছাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মেয়েটি ছিল একেবারে অসহায় তার বাবা ৫ বছর আগে মারা যায় এবং তারা অন্য জায়গা থেকে এই গ্রামে এসে বাড়িঘর করেন। মেয়েটির এক বোন আর মা ছাড়া আর কেউ নেই এবং এই জায়গায় তাদের কোন আত্মীয়স্বজনও নেই বলে জানা যায়।
বৈঠকে উপস্থিত তিন যুবক মুহিবুর রহমান, সুজন আলম, এবং জসীম উদ্দিন- এই অমানবিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলে রাসেল বক্স ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান, এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন।

